কৈলাসহরের সার্কিট হাউজ সংলগ্ন দুই সন্তানের জননী কে ধর্ষণের চেষ্টা, মহিলা থানার ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ।


IIW : দেবাশীষ দত্ত, নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর :- কৈলাসহরের সার্কিট হাউজ সংলগ্ন দুই সন্তানের জননী কনিকা দাস কে ভোরবেলা ধর্ষণের চেষ্টা করে এলাকারই শ্যামাপ্রসাদ রাজকুমার নামে এক যুবক। কনিকা দাসের ঘরে ঢুকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাকে ঝাপটে ধরে  শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। জোর করে কনিকা দাসের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই কৈলাসহর মহিলা থানায় লিখিত মামলা করলেও তিন দিন অতিক্রান্ত  হওয়া সত্ত্বেও মহিলা থানার ওসি অপর্ণা দেবনাথ আজ পর্যন্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। এমনকি মামলাটিও রেজিস্ট্রি করেনি। অসহায় কনিকা দাস আজ একপ্রকার নিরুপায় হয়ে আসেন কৈলাসহর জেলা কংগ্রেস ভবনে। সেসময় কংগ্রেস ভবনে ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, কংগ্রেস নেতা রুদ্রেন্দু ভট্টাচার্য্য এবং আরো অনেকে। কনিকার নিজ মুখে কংগ্রেস নেতারা ঘটনা শুনে ক্রোধে ফেটে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গেই কংগ্রেস নেতারা কনিকা দাস কে নিয়ে মহিলা থানায় এসে ওসি অপর্ণা দেবনাথ এর কাছে জানতে চান, কেন তিন দিন অতিক্রান্ত হবার পরেও মামলা রেজিস্ট্রি করা হয়নি ? এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি ? ওসি অপর্ণা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। কনিকা দাস মহিলা থানায় মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সামনে বলেন আমার স্বামী পেশায় অটোচালক। প্রতিদিনের মতো গত দশ মে শুক্রবার ভোর বেলা বাড়ি থেকে অটো নিয়ে শহরে চলে যান। তখন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ঠিক সেই সময় এলাকারই মৃত রামপ্রসাদ রাজকুমারের ছেলে শ্যামাপ্রসাদ রাজকুমার আমার ঘরে ঢুকে আমাকে জাপ্টে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এমন কি পরনের কাপড় পর্যন্ত ছিঁড়ে দেয়। আমি তখন ধাক্কা দিয়ে ঘরের মধ্যে ফেলে দেই শ্যামাপ্রসাদ রাজকুমার কে। এবং ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসীরা ছুটে এসে শ্যামাপ্রসাদকে সবাই দেখে ফেলে এবং আমাকে উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গেই মহিলা থানায় শ্যামাপ্রসাদ রাজকুমারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়। পুলিশ পরেরদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্যামাপ্রসাদের বাড়িতে গিয়ে চা-পান খেয়ে চলে আসে, কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করে নি। শ্যামাপ্রসাদ রাজকুমার এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করছে এবং কনিকা সহ কনিকার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেবার জন্য। মামলা না তুললে কনিকার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেবে। বিশেষ সূত্রে জানা যায় যে, মোটা টাকার বিনিময়ে ওসি অপর্ণা দেবনাথ শ্যামাপ্রসাদ রাজকুমারকে গ্রেপ্তার করছেন না, এবং মামলা ও রেজিস্ট্রি করছেন না। গত পয়লা মে কৈলাসহরে রুকসানা বেগমের ধর্ষণের মামলায়ও প্রথম দিকে মামলা নিতে গরিমসি করেছিলেন এবং আসামিকে গ্রেপ্তারও করেন নি। পরবর্তী সময়ে মিডিয়ার চাপে ওসি অপর্ণা মামলা রেজিস্ট্রি করেছেন এবং আসামিকেও গ্রেপ্তার করেছিলেন। তারপর ফের ওসি অপর্ণার এ ধরনের কান্ডকারখানায় কৈলাসহরে  সাধারণ জনগণ মানুষ  ছি্ ছি্ করছে।

Post a Comment

0 Comments