আবারও সংবাদ শিরোনামে কৈলাসহর মহিলা থানা, ধর্ষণ এর তিন দিন পরও আসামীকে গ্রেফতার করেনি।


IIW : দেবাশীষ দত্ত, নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর :-কৈলাসহর পুরো পরিষদ এলাকায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে জোর করে ধর্ষণ করে ধর্ষণকারী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও কৈলাসহর মহিলা থানা আসামীকে গ্রেফতার করছে না। উল্টো ধর্ষণকারী সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছে সাক্ষী দিলে প্রানে মেরে ফেলবে। তারপরও মহিলা থানা ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করছে না। ঘটনাটি ঘটে কৈলাসহর পুর পরিষদের চৌদ্দ নম্বর ওয়ার্ডের কিনাইরচড় এলাকায়। গত পয়লা মে গভীর রাতে রোকসানা বেগম তার ছেলের প্রচন্ড জ্বর হওয়ায় ছেলের মাথায় জল দেবার জন্য ঘরের বাইরে বালতি আনতে যান। দরজা খুলে বাইরে বের হতেই ওই এলাকার বাসিন্দা জনাব আলীর ছেলে মনার আলী ঘরে ঢুকে রুকসানা কে মারধর করে এবং বলপূর্বক রুকসানা কে ধর্ষণ করে।  দুসরা মে  অসুস্থ রোকসানা সকালবেলা কৈলাশহর মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মনার আলীর বিরুদ্ধে। রোকসানা চিকিৎসার জন্য আর.জি.এম হাসপাতালে এলে হাসপাতালের চিকিৎসক রোকসানাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখনও রোকসানা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। দুসরা মে গভীর রাতে মনার আলী রুকসানার বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে রুকসানার নবম শ্রেণীতে পাঠরত মেয়েকে গলায় দা ধরে বলে, যদি আমার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিস তাহলে তোকে কেটে ফেলবো। এরপর ঘরের আলমারির লকার ভেঙে রুকসানার সোনা এবং নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। আজ প্রায় তিন দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত মহিলা থানা আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি। মহিলা থানার ওসি অপর্ণা দেবনাথ মিডিয়ার সামনে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ। উল্লেখ্য রুকসানার স্বামী তিন বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন। বাড়িতে এক মেয়ে এবং দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন অসহায় রুকসানা। বিচারের দাবিতে সমাজের সবার কাছে খবর দিচ্ছেন কিন্তু অসহায় রুকসানার পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছেন না। ধর্ষণকারী মনার আলি বছর খানেক আগেও আরেকবার রুকসানাকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সে সময় গ্রামের বিচারে মনার আলী সবার সামনে ক্ষমা চায় এবং বলেছিল যে, ভবিষ্যতে এমন কাজ কোন দিনও আর করবে না। এক বছর পর গত পয়লা মে পুনরায় রুকসানার সঙ্গে এই কাজ করল মনার আলী। এলাকাবাসী মনারের সম্পর্কে বলতে গিয়ে আরো বলেন যে, রুকসানা বেগম ছাড়াও এলাকায় এর আগে আরো দুজন মহিলার সঙ্গে এমন শীলতাহানির ঘটনা ঘটিয়েছে মনার। তখনও মহিলা থানায় জানানোর পরও কোনো কাজ হয়নি। কৈলাসহর মহিলা থানার এই ভূমিকায় কৈলাসহরের জনমনে হাজারো প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।

Post a Comment

1 Comments

  1. According to the verdict of Supreme Court in case of any rape the name of victims never be disclose. Please keep the secrecy of victims identification for maintain her social respect.

    ReplyDelete