প্রধান শিক্ষককের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, পিংকু বিশ্বাস, আমবাসা :- সাধারণ মানুষ কে বিজ্ঞান সমত্ব করে তোলার জন্য রাজ্য সরকারের যে প্রচেষ্টা তা সফল হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। জেলায় 95 টি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে জেলা ভিত্তিক নাটক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছে মাত্র তিনটি বিদ্যালয়। জানা যায় চান্দ্রাই পাড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দয়ানন্দ দেব্বর্মা যিনি এই অনুষ্ঠানের আহবায়ক তিনি জেলার তো দূরের কথা মহকুমার সমস্ত বিদ্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের বার্তা পৌছাননি। তাই উপস্থিত হলো শুধুমাত্র তিনটি বিদ্যালয়। এই বিষয়ে উদ্ভোধক প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু জবাব দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক মহোদয়। বলা চলে এক প্রকার চরম অব্যবস্থাপনায় দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো জেলাভিত্তিক বিজ্ঞান বিষয়ক নাটক প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা চক্র। শনিবার চন্দ্রাইপাড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা। এই বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিযোগিতা ও আলোচনা চক্রের শুভ সূচনা করেন আমবাসা পৌর পরিষদের পৌর কর্তা চন্দন ভৌমিক, উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অধিকর্তা অর্জুন শর্মা, চান্দ্রাই পাড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর এসএমসির চেয়ারম্যান আশীষ ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। জেলা ভিত্তিক এই নাটক প্রতিযোগিতায় তিনটি বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেন। জেলায় মোট উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে 95 টি, তার মধ্যে আমবাসা মহাকুমার তিনটি বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেন এই প্রতিযোগিতায়। জানা যায় যোগাযোগের অভাবে অন্য বিদ্যালয় গুলি খবর পায়নি। এই বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক দয়ানন্দ দেববর্মার চরম গাফিলতির কারণে এমনটা হয়েছে বলে ধারণা সকলের। বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদ্বোধক চন্দন ভৌমিক বলেন 95 টি বিদ্যালয় এর মধ্যে মাত্র তিনটি বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেছে, যা খুবই দুঃখের বিষয়, তাতে করে সরকারের আসল উদ্দেশ্য সফল হবে না। সব মিলিয়ে চরম অব্যবস্থাপনা মধ্য দিয়েই সম্পূর্ণ হলো জেলাভিত্তিক বিজ্ঞান বিষয়ক নাটক ও আলোচনা চক্র।অন্যদিকে কুলাই দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যে নাটক পরিবেশিত করে তাতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দিক দিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে বলে অনেকের অভিমত।