অবৈধ ভাবে প্রচুর পরিমানে নেশার ট্যাবলেট পাচার করতে গিয়ে ধর্মনগর থানার পুলিশের জালে ধরা পড়লো কৈলাশহরের এক যুবক।

IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, বিকাশ ভট্টাচার্য, ধর্মনগর :- লকডাউন চলাকালীন সময়েও নেশাকারবারিদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত। অবৈধ ভাবে প্রচুর পরিমানে নেশার ট্যাবলেট পাচার করতে গিয়ে ধর্মনগর থানার পুলিশের জালে ধরা পড়লো কৈলাশহরের এক যুবক। ধৃত এই পাচারকারির নাম নিপম নাথ, পিতা নীল মাধব নাথ, বাড়ি কৈলাশহরের ভগবান নগর স্কুল পাড়ার ৭ নং ওয়ার্ডে। নিপম নাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে দীর্ঘ দিন ধরেই নেশার ট্যাবলেটের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিছু অফিসারদের ম্যানেজ করেই নেশার ট্যাবলেটের এই রমরমা ব্যবসা চলছিল দীর্ঘদিন যাবত। পুলিশ সূত্রে খবর উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ও ধর্মনগর থানার পুলিশ মঙ্গলবার গোপন সূত্রের খবরের ভিক্তিতে ধর্মনগর থেকে বাইকে করে কৈলাশহর যাওয়ার পথে নিপম কে আটক করে, কিন্তু তল্লাশি চালিয়ে তার কাছে কিছু না পেয়ে পুলিশ নিপম কে ছেড়ে দেয়। বুধবার ফের তাকে ধর্মনগর থেকে কৈলাশহর যাওয়ার পথে ধর্মনগর থানার পুলিশ আটক করে এবং তল্লাশি চালিয়ে তার কাছে থেকে প্রচুর পরিমানে নেশার ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এদিকে নিপম নাথ পুলিশ কে জানায়, সে কৈলাশহর জেলা আদালতে অস্থায়ী পদে চাকরি করে এবং কৈলাশহরের সঞ্জিবনী মেডিকেল হলের মালিক সে। পুলিশ কে তার ফার্মেসির কাগজ পত্রও দেখায়। তারপর পুলিশ তার সাথে থাকা এপাচি বাইটির কাগজ পত্র দেখতে চায় তখন নিপম তার বাইকের বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে সক্ষম হয় নি। অভিযোগ সেই সময় পুলিশের সাথে কৈলাশহরের এই যুবক তুর্কে লিপ্ত হয়। পুলিশ তাকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য আটক করে ধর্মনগর থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিপম প্রথমে তার বাইকের কোন বৈধ কাগজ পত্র পুলিশ কে দেখাতে সক্ষম হয় নি। পরবর্তি সময় পুলিশ তার ফার্মেসির কাগজ পত্রের বৈধতা যাচাই করতে ড্রাগ ইন্সপেক্টার কে খবর দেয়, শুরু হয় তদন্ত। পরে পুলিশ যান্তে পারে যে, কৈলাশহরের সঞ্জিবনী মেডিকেল হলের মালিক নয় সে, নিপম যে কাগজ পত্র গুলি পুলিশ কে দেখিয়ে ছিল, সেগুলো জাল কাগজপত্র। নিপম নাথের কাছ থেকে যে ট্যাবলেট গুলো উদ্ধার হয়েছে সেই গুলি নেশা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশ নিপম নাথের বিরুদ্ধে মামলা নেয় ৫১/২০২০ ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং ২২ (c)/২৯ এন ডি পি এস অ্যাক্টে। মামলা নিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

Post a Comment

0 Comments