IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, দেবাশীষ দত্ত, কৈলাসহর :- কৈলাসহরের টিলাবাজার দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে প্রায় এক বছর ধরে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারি প্রধান শিক্ষক নেই, পর্যাপ্ত বিজ্ঞান শিক্ষকও নেই। স্কুলে খেলার বড় মাঠ থাকলেও মাঠে গ্যালারি নেই। তাছাড়া স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রতিদিন স্কুলে আসেন না। আসলেও বারোটার পর স্কুলে আসেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কয়েকবার দপ্তরের জেলা ডেপুটি ডিরেক্টর-এর কাছে এ বিষয়ে জানালেও কোন লাভ হয়নি। তাই ছাত্রছাত্রীরা আজ সকাল দশটা থেকে স্কুলের সামনে টিলাবাজার- বাবুরবাজার রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। দুপুর দেড়টা বেজে গেলেও বিক্ষোভ স্থলে দপ্তরের আধিকারিক কিংবা প্রশাসনের কেউ না আসায় ছাত্রছাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্কুলের দরজা-জানলা, চেয়ার-টেবিল ইত্যাদি ভাঙতে শুরু করে। স্কুল চত্বরে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে ইরানি থানার প্রচুর পুলিশ টি.এস.আর এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর তিনটে নাগাদ মহকুমা অফিস থেকে ডি.সি.এম রূপক ভট্টাচার্য, ঊনকোটি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জ্ঞানেন্দ্র পাল ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেন। ঠিক সেই সময় এক ছাত্র জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। আকস্মিক এই ঘটনায় ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে ডি.সি.এম রূপক ভট্টাচার্যকে ধাক্কা দেয়, এবং শারীরিকভাবে নিগৃহীত করে। পরবর্তী সময়ে স্কুলে আধিকারিকরা বসে বৈঠক করেন। ছাত্রছাত্রীদের আধিকারিকরা লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর অবরোধ প্রত্যাহার হয়। জ্ঞানেন্দ্র পাল ছাত্র-ছাত্রীদের সবগুলো দাবীর বাস্তবায়ন সম্পর্কে মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সামনে সঠিক উত্তর দেন নি। রূপক ভট্টাচার্য শারীরিকভাবে নিগৃহীত হয়েছেন, এটা তিনি নিজে স্বীকার করলেও ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে নারাজ বলে নিজেই জানিয়েছেন। দপ্তরের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বলা হয়েছে আগামী এক মাসের মধ্যে দাবিগুলো পূরণ করা হবে। পাল্টা ছাত্র-ছাত্রীরাও জানিয়েছে যে, যদি আগামী এক মাসের মধ্যে দাবি মানা না হয় তাহলে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
0 Comments