IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, বিশ্বেশ্বর মজুমদার, আগরতলা :- ত্রিপুরা পুলিসে কর্মরত স্বামীর হাতে আক্রান্ত স্ত্রী। ঘটনা সিধাই থানার অন্তর্গত কালিকামুড়া এলাকায়। আইনের দ্বারস্থ হয়ে ন্যায় বিচার না পেয়ে অসহায় নির্যাতিতা দ্বারস্থ হল সংবাদ মাধ্যমের। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ২০০৬ সালে চানমারি এলাকার রানু বিশ্বাসের সাথে বিয়ে হয় ত্রিপুরা পুলিসের কনস্টেবল পদে কর্মরত নারায়ন চন্দ্র রায়ের। অভিযোগ বিয়ের ৬ থেকে ৭ মাস পর থেকে কনস্টেবল নারায়ন চন্দ্র রায় তার স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এইনিয়ে নির্যাতিতা রানু বিশ্বাস বেশ কয়েকবার পুলিসের দ্বারস্থ হয়। শেষ পর্যন্ত লিখিত আকারে সিদ্ধান্ত হয় নারায়ন চন্দ্র রায় তার স্ত্রীর সাথে থাকবে না। তবে প্রতিমাসে রানু বিশ্বাসকে ৬ হাজার টাকা করে দিয়ে যাবে। কিন্তু অভিযোগ স্বামী নারায়ন চন্দ্র রায় লিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রানু বিশ্বাসকে মাসে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। বর্তমানে রানু বিশ্বাস অসুস্থ। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে স্বামী নারায়ন বিশ্বাস রানু বিশ্বাসকে ঘড় থেকে বের করে দিয়ে ঘড়ে তালা লাগিয়ে দেন। এবং রানু বিশ্বাসকে যেই দিকে চোখ যায় চলে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন রানু বিশ্বাস স্বামীকে ঘরের চাবি দিতে বলেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। স্বামী নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস তখন উত্তেজিত হয়ে বেধড়ক ভাবে মারধর করে রানু বিশ্বাসকে। নিরুপায় হয়ে রানু বিশ্বাস ছুটে যান স্থানীয় থানায়। কিন্তু পুলিশ বাবুরা ওনাকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব খালাস করে নেন। এক প্রকার বাধ্য হয়ে নির্যাতিতা রানু বিশ্বাস দ্বারস্থ হন সংবাদ মাধ্যমের। সংবাদ প্রতিনিধিদের ক্যামেরার সন্মুখে সমগ্র ঘটনা তুলে ধরে চোখের জল মুছতে মুছতে ন্যায় বিচারের দাবি জানান।
0 Comments