গরীব ছাত্রছাত্রীদের টুপি পড়িয়ে কামাই বানিজ্য গুণধর প্রধান শিক্ষকের।

IIW : নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর :- গরীব ছাত্রছাত্রীদের টুপি পড়িয়ে কামাই বানিজ্য গুণধর প্রধান শিক্ষকের, অভিযোগে সোচ্চার এবিভিপি। চাপে পরে ছাত্র ছাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান শিক্ষক, ঘটনা পানিসাগর মহকুমার দেওছড়া দ্বাদশমান বিদ্যালয়ে। গুনধর প্রধান শিক্ষকের নাম বিজন কুমার দাস। ঘটনা বিবরণে প্রকাশ পানিসাগর মহকুমার দেওছড়া দ্বাদশমান বিদ্যালয়ে ২০১৭ সালে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহন করেন বিজন কুমার দাস, অভিযোগ তারপর থেকেই ছাত্র ছাত্রীদের সঠিক পাঠদানের কথা চিন্তা না করে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন ফন্দি খুঁজতে থাকেন কামাই বানিজ্যের। প্রধান শিক্ষকের এহেনু কার্যকলাপে সোচ্চার হয়েছে এবিভিপি'র স্থানীয় শাখা। অভিযোগ প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই হাজার হাজার টাকা কামিয়ে নিয়েছে, এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অধিকাংশই গরীব অংশের, করোনা পরিস্থিতে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অভিবাবকরা ছেলে মেয়েদের হাতে পাঠ্য বইর জন্য টাকা ধরিয়ে দিয়েছে, আর এই প্রধান শিক্ষক ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকেই পাঠ্য বইয়ের জন্য বার্তী টাকা নিচ্ছেন।এমনটাই খবর পায় স্থানীয় এবিভিপি'র শাখা। এবিভিপির ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে ছুটে যায় দেওছড়া দ্বাদশমান বিদ্যালয়ে, তারপর ক্লাস ৯ থেকে ১০ এবং ১২ এর পাঠ্য বইয়ের জন্য বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে কেন? এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কে এবিভিপির সদস্যরা প্রশ্ন করলে তিনি বার্তী টাকা নেওয়া হয়েছে তা শিকার করে বলেন সরকার থেকে পাঠ্যবই দেওয়া হয়েছে কিন্তু তা স্কুলে নিয়ে আসার জন্য গাড়ী ভাড়া দেওয়া হয় নি, তাই তিনি স্কুলের এস এম সি কমিটি এবং স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে আলোচনা করে তিনি পাঠ্যবই স্কুলে নিয়ে আসার জন্য যে খরচা হবে সেই খরচা বাবদ ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে বার্তী টাকা নিয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য অনুযায়ী স্কুলের এস এম সি কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ দেব নাথে কে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিস্কার জানিয়ে দেন বার্তী টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। পরবর্তিতে প্রধান শিক্ষক বিজন কুমার দাস শিকার করেছেন উনি ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে বইয়ের জন্য বার্তী টাকা নিয়েছেন এবং এই বিষয়ে স্কুল পরিচালন কমিটি কেও তিনি জানান নি। প্রধান শিক্ষক বলেন বার্তী টাকা ছাত্রছাত্রী দের থেকে নেওয়া ওনার ভুল হয়েছে, তিনি ছাত্র ছাত্রীদের টাকা ফেরত দেবেন। এই গুণধর প্রদান শিক্ষক শুধু এই বৎসরই নয় গত বৎসর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ও ছাত্র ছাত্রীদের টুপি পরিয়ে বইয়ের জন্য বার্তী টাকা নিয়েছিলেন, সেই টাকাও ছাত্র ছাত্রীদের ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বইয়ের টাকা ছাড়াও স্কুলের আই কার্ড এর জন্য ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। বিগত দিনে ছাত্র ছাত্রীরা সঠিক ভাবে আই কার্ড পায় নি তারপর এই নিয়ে স্কুলে একটা সমস্যাও তৈরি হয়েছিল বিগত্ দিনে। এই প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব ভার নেওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা সরকারি বিভিন্ন স্টাইফেন্ডও সঠীক ভাবে সবাই পায় নি বলেও অভিযোগ এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের।

Post a Comment

2 Comments

  1. Education dept ba scert theke books anar jonyo gari to lagbei..kintu prosna holo govt ki sei gari vara dichhe?jodi na dei tobe ei bishal poriman books kibhave schoole pouchbe se samparke smc committee ki boleche?bepa kintu golmele mone hochhe

    ReplyDelete
  2. Beparta golmele mone hochhe..annya school guli kibhabe books ance ta jene niye erpor bodhoi Headmaster ke prosno kora uchit chilo

    ReplyDelete